সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহতদের আহাজারিতে ক্রমশই ভারী হয়ে উঠছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) বাতাস। মেডিকেলে আসা রোগীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষকে। এছাড়া আহতদের চিকিৎসার জন্য প্রচুর পরিমাণ রক্তের প্রয়োজন বলেও জানা গেছে।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহত অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসায় প্রচুর রক্তের প্রয়োজন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, রেড ক্রিসেন্ট আর পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার জানানো হয়।
চট্টগ্রামের সকল অঞ্চলের স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের চট্টগ্রাম মেডিকেলে আসার আহ্বান জানানো হয়। বিশেষত নেগেটিভ গ্রুপের রক্তধারীদের বেশি প্রয়োজন বলেও জানানো হয় রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে।
স্বেচ্ছাসেবীদের বরাত দিয়ে সীতাকুণ্ড ছাত্রলীগের সভাপতি তপু জানান, ‘এবি’ পজিটিভ আর ‘ও’ নেগেটিভ রক্তের স্বল্পতা রয়েছে।
সকল স্বেচ্ছাসেবী রক্তদাতাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে রক্তদানের আহ্বান জানানো হয় হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবী সাহায্য দেয়া রেড ক্রিসেন্ট কর্মীদের পক্ষ থেকে।
আগুনের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত ৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও আগুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত তিন শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে মেডিকেলে আসা আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে চট্টগ্রামে অবস্থান সকল সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসকদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন ইলিয়াছ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আহতদের হাসপাতালে একে একে আনা হচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্স থেকে শুরু করে টেম্পু বা সিএনজিচালিত অটোরিকশাতে করেও হতাহতদের আনা হচ্ছে মেডিকেলে। আহত সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে। আহতদের চিকিৎসায় সকল চিকিৎসককে হাসপাতালে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি। আপনারা শুধুমাত্র অ্যাপ্রোন পরেই চলে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চলে আসুন।’
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান সকল চট্টগ্রাম মেডিকেলের ইন্টার্ন চিকিৎসককেও কাজে যোগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়াও হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়ার জন্য চট্টগ্রামের যে কোন প্রান্তে অবস্থান করা সকল অ্যাম্বুলেন্সকেও সীতাকুণ্ডে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন সিভিল সার্জন ইলিয়াছ চৌধুরী।
পাঠকের মতামত: